কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কতঃ বিস্তারিত গাইড

বাংলাদেশে কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায়প্রিয় পাঠক, আপনি কি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কেননা আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আমরা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
Credit: damkemon.info

বর্তমান সময়ে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ প্রায় ১৫০ কানাডিয়ান ডলার। এই খরচ ভিসা ফি হিসেবেই নির্ধারিত। কানাডায় পড়াশোনা করতে চাইলে স্টুডেন্ট ভিসার ফি সম্পর্কে জানা জরুরি। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক।

কানাডিয়ান ডলার হিসেবে ফি দিতে হয়, যা ১৫০ ডলার। ভিসা প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে বিভিন্ন ধাপ অনুসরণ করতে হয়। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদনকারীর পাসপোর্ট, ছবি, শিক্ষাগত দলিলাদি ইত্যাদি সকল কিছু জমা দিতে হয়। এছাড়াও, বায়োমেট্রিক তথ্য ও মেডিকেল পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে।

আপনি যদি কানাডায় উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে এই সকল খরচগুলি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। যেহেতু কানাডার শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বমানের, তাই অনেক শিক্ষার্থীই এই সুযোগটি নিতে চায়। এমনকি আপনি যদি চান তাহলে আপনিও এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারবেন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ প্রায় ১৫০ কানাডিয়ান ডলার। এছাড়াও, মেডিকেল পরীক্ষার ও বায়োমেট্রিক ফি রয়েছে। যার জন্য এই সকল কিছুতে আপনাকে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হয়। আপনি যদি এই যোগ্যতাগুলো পূরণ করতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজেই কানাডায় পড়াশোনা করতে যেতে পারবেন। তো বন্ধুগন আসুন জেনে নিই এই যোগ্যতাগুলো সম্পর্কে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

সবার প্রথমে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করা হবে। তবে এর জন্য এতে কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। সেগুলো হলোঃ
  • উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের সার্টিফিকেটঃ আপনার সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ।
  • ভালো একাডেমিক রেকর্ডঃ  আপনার পূর্ববর্তী শিক্ষার ফলাফল ভালো হতে হবে।
  • ইংরেজি ভাষায় দক্ষতাঃ IELTS বা TOEFL স্কোর প্রয়োজন।

আর্থিক সামর্থ্য

আপনি যদি কানাডায় পড়াশোনা করতে চান তাহলে অবশ্যই কানাডায় পড়াশোনা এবং জীবনযাপনের খরচ বহন করার সামর্থ্য আপনার থাকতে হবে। আর এই সকলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেঃ
  • ব্যাংক স্টেটমেন্টঃ আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা আছে এমন প্রমাণ।
  • স্পন্সরশিপ লেটারঃ  যদি আপনার খরচ কেউ বহন করেন, তবে তার প্রমাণপত্র।

মেডিকেল পরীক্ষা

কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সুস্থ হতে হবে। আর এজন্য আপনি যে শারীরিকভাবে সুস্থ, সেটি প্রমাণ করতে হবে। আর এই পরীক্ষার মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হয় যে আপনি সুস্থ আছেন। এই পরিক্ষার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেঃ
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ সরকারি অনুমোদিত চিকিৎসক দ্বারা সম্পন্ন।
  • মেডিকেল সার্টিফিকেটঃ সম্পন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট।

অপরাধমূলক রেকর্ডের অনুপস্থিতি

কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই নিরপরাধ হতে হবে। আপনার কোন প্রকার অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না। এটি নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণঃ
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটঃ আপনার অপরাধমূলক রেকর্ড নেই এমন প্রমাণ।
  • ভালো চরিত্রের প্রমাণঃ সমাজে আপনার ভালো অবস্থান রয়েছে সেই সম্পর্কে নিশ্চয়তা।

ভিসা আবেদন ফি

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হবে। আর এর মধ্যে রয়েছেঃ
  • আবেদন ফিঃ ভিসার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে।
  • বায়োমেট্রিক ফিঃ এই ফি হলো মূলত আপনার আঙ্গুলের ছাপ ও ছবি তোলার ফি।
আপনি যদি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে উপরের যোগ্যতাগুলি পূরণ করতে হবে। যদি আপনি এই সকল যগ্যতাগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে পারেন তাহলেই আপনার স্বপ্নের দেশের পথে এগিয়ে যেতে পারবেন।

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা অসুবিধা

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত তা নির্ভর করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্স ও অন্যান্য আরো সকল অয়ানুসঙ্গিক খরচ-এর উপর। সাধারণত, কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন ফি প্রায় ১৫০ কানাডিয়ান ডলার।

কানাডায় পড়াশোনা করতে যেতে চাইলে অবশ্যই বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এখন আমরা কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সকল সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করব। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক।

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে অনেক ধরণের সুবিধা পাওয়া যায়। নিম্নে কিছু কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার মূল সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলোঃ
  • উচ্চ মানের শিক্ষাঃ কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।
  • কাজের সুযোগঃ পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট-টাইম কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
  • বহুসংস্কৃতির পরিবেশঃ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে মেলামেশার সুযোগ।
  • স্থায়ী বসবাসের সুযোগঃ পড়াশোনা শেষে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করা যায়।

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার অসুবিধা

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি বেশকিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। নিচে সেই সকল অসুবিধাগুলো পয়েন্ট আকারে আলোচনা করা হলো।

কানাডায় পড়াশোনা করতে গেলে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। সেই সকল চ্যালেঞ্জ/অসুবিধাগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
  • উচ্চ জীবনযাত্রার খরচঃ কানাডায় থাকার খরচ তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি।
  • আবহাওয়ার পরিবর্তনঃ সেখানে আবহাওয়া ঠান্ডা হওয়ার জন্য শীতকালের তীব্র ঠান্ডা সহ্য করা কঠিন হতে পারে।
  • পরিবারের থেকে দূরে থাকাঃ পরিবার থেকে দূরে থাকা মানসিকভাবে কঠিন হতে পারে।
  • কাজের অনুমতির সীমাবদ্ধতাঃ ভিসার শর্ত অনুযায়ী কাজ করার অনুমতি সীমিত।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচগুলো নির্ভর করে বিভিন্ন ধরণের ফি এবং আনুসঙ্গিক সকল ধরণের খরচের উপর। সাধারণত, মোট খরচ প্রায় ১৫০ কানাডিয়ান ডলার থেকে শুরু হয়।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি সম্পর্কে জানার আগ্রহ অনেকেরই থাকে। মূলত কানাডায় পড়াশোনা করার স্বপ্ন পূরণ করতে এই সকল এজেন্সিগুলোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই এজেন্সিগুলোই মূলত ছাত্রদের ভিসা প্রক্রিয়ার কাজ সহজ করে দেয়।

এজেন্সির ভূমিকা

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য এজেন্সিরা বিভিন্ন ধরণের গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান করে থাকে। নিম্নে সেই সকল কিছু মূল ভূমিকা তুলে ধরা হলোঃ
  • আবেদন প্রক্রিয়াঃ ভিসা আবেদন পূরণ এবং সাবমিট করা।
  • ডকুমেন্টেশনঃ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় এবং সম্পূর্ণ করা।
  • পরামর্শঃ শিক্ষার্থীকে সঠিক তথ্য এবং নির্দেশনা দেওয়া।

এজেন্সি নির্বাচন

কানাডায় স্টুডেন্টস ভিসায় যাওয়া জন্য উপযুক্ত এজেন্সি নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। সঠিক এজেন্সি শিক্ষার্থীদের সফলভাবে ভিসা পেতে সাহায্য করতে পারে। অন্যথায় প্রতারণার স্মীকার হতে হবে।

ভিসা এজেন্সির ফি

ভিসা এজেন্সি নির্বাচন করার পাশাপাশি আমাদেরকে ভিসা এজেন্সির ফি সম্পর্কেও সচেতন থাকা উচিত। আর সেজন্য আমাদেরকে নিম্নের সকল পয়েন্টগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • পরিষেবার ধরনঃ ফি নির্ভর করে থাকে মূলত এজেন্সির সেবার উপর।
  • অতিরিক্ত খরচঃ এমন কিছু এজেন্সি রয়েছে যারা, অতিরিক্ত চার্জ করতে পারে। আর সেজন্য সচেতনতা অবলম্বন করে আমাদেরকে আগে থেকেই জেনে নেওয়া উচিত হবে।

এজেন্সির বিশ্বাসযোগ্যতা

এই সকল কিছুর পরেই আসে বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়টি। আর এজন্য আমাদেরকে একটি বিশ্বাসযোগ্য এজেন্সি খুঁজে নিতে হবে। আর এজেন্সির বিশ্বাসযোগ্যতাগুলো যাচাই করার জন্য নিম্নের সকল বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। চলুন এখন আমরা সকলেই এই সকল বিষয়গুলি জেনে নেই।
  • রিভিউর রিভিউঃ একটি এজেন্সি নির্বাচন করার জন্য সেই এজেন্সির পূর্বের সকল কাজ এবং শিক্ষার্থীদের রিভিউ দেখতে হবে।
  • অভিজ্ঞতাঃ এজেন্সি নির্বাচন করার জন্য সেই এজেন্সির পূর্বের সকল কাজের অভিজ্ঞতা এবং তার কাজের সাফল্যের হার দেখতে হবে।

এজেন্সির সাথে যোগাযোগ

এমন এজেন্সি নির্বাচন করতে হবে যাদের সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায়। আর সেই যোগাযোগের মাধ্যমগুলো হতে পারে
  • ফোনঃ সরাসরি ফোনে কথা বলা।
  • ইমেইলঃ ইমেইলের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য আদান প্রদান।
  • অফিস ভিজিটঃ সরাসরি অফিসে গিয়ে কথা বলা।

এজেন্সির সেবা

আপনি যদি সঠিক এজেন্সি নির্বাচন করে থাকেন তাহলে দেখবেন সেই এজেন্সি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে ধাপেই সাহায্য কছে। নিম্নে ঠিক তেমনই কিছু সেবার উদাহরণ দেওয়া হলোঃ
  • কোর্স নির্বাচনঃ একজন শিক্ষার্থীর জন্য উপযুক্ত কোর্স নির্বাচন করে দেওয়া।
  • বিশ্ববিদ্যালয় আবেদনঃ একজন শিক্ষার্থীর জন্য তার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে সহযোগিতা করা।
  • ভিসা ইন্টারভিউ প্রস্তুতিঃ ভিসা ইন্টারভিউয়ের জন্য সঠিক প্রস্তুতি দেওয়া।
উপরের উল্লিখিত এই সকল তথ্যগুলো একজন কানাডায় পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই উপকারী হবে। কারণ এর মাধ্যমে আপনি সঠিক এজেন্সি বেছে নিয়ে আপনার স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যেতে পারবেন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ সাধারণত আবেদন ফি এবং বায়োমেট্রিক ফি মিলিয়ে প্রায় ১৫০ কানাডিয়ান ডলার। এছাড়াও, মেডিকেল পরীক্ষা এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য অতিরিক্ত আরো বেশ কিছু খরচ হতে পারে।

কানাডায় পড়াশোনা করার স্বপ্ন অনেকেরই রয়েছে। সেই স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ হলো কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রাপ্তি। এছাড়াও কানাডার ভিসা প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত সকল খরচ সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভিসা আবেদনের ফি

সবার প্রথমে, আমাদেরকে ভিসা আবেদনের ফি সম্পর্কে জানতে হবে। এই খরচটি নির্দিষ্ট এবং পরিবর্তনশীল নয়।
  • আবেদন ফি: বর্তমানে কানাডার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রায় ১৫০ কানাডিয়ান ডলার দিতে হয়।
  • বায়োমেট্রিক ফি: ভিসা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বায়োমেট্রিক ডেটা দিতে হয়, যার জন্য প্রায় ৮৫ কানাডিয়ান ডলার খরচ হয়।

মেডিকেল পরীক্ষা

কানাডার ভিসা পাওয়ার জন্য মেডিকেল পরীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর এই পরীক্ষার জন্য কিছু খরচ এখানে যুক্ত হয়।
  • মেডিকেল পরীক্ষা ফি: মেডিকেল পরীক্ষার জন্য প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ কানাডিয়ান ডলার খরচ হয়।
  • পরীক্ষার ধরণ: মেডিকেল পরীক্ষাটা করানো হয় মূলত একজন নির্দিষ্ট চিকিৎসকের কাছে।

ভিসা প্রসেসিং ফি

যেহেতু আমরা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা মাধ্যমে যেতে চাচ্ছি তাই আমদেরকে কানাডার ভিসা প্রসেসিং ফি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে থাকতে হবে। এটি ভিসার আবেদনের ফি থেকে আলাদা ফি দিতে হয়।
  • প্রসেসিং ফি: কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করতে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ কানাডিয়ান ডলার খরচ হয়।
  • প্রসেসিং সময়: এই ভিসা প্রসেসিং করতে সাধারণত ২-৩ মাস সময় লাগে।

অন্যান্য খরচ

ভিসা প্রসেসিং খরচের পাশাপাশি আরো বেশকিছু অতিরিক্ত খরচও যুক্ত হতে পারে। এই খরচগুলি প্রয়োজনীয় এবং ভিসা প্রক্রিয়ার একটি অংশ।
  • পাসপোর্ট ফি: পাসপোর্ট নবায়ন করতে প্রায় ১০০-১৫০ কানাডিয়ান ডলার খরচ হয়।
  • ট্রান্সলেশন ফি: যদি ডকুমেন্ট ট্রান্সলেশন প্রয়োজন হয়, তবে প্রায় ২০-৫০ কানাডিয়ান ডলার খরচ হয়।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা স্টাডি গ্যাপ

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর। প্রধানত, টিউশন ফি, বসবাসের খরচ, স্বাস্থ্যবীমা এবং অন্যান্য খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে।

কানাডায় পড়াশোনা করতে চাইলে স্টুডেন্ট ভিসা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কিন্তু যদি আপনার স্টাডি গ্যাপ থাকে, তবে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন। এই অংশে, কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়ায় স্টাডি গ্যাপের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হবে।

স্টাডি গ্যাপ কি?

স্টাডি গ্যাপ বলতে বোঝায়, আপনার পূর্ববর্তী শিক্ষার পরবর্তী পর্যায়ে যোগদানের মধ্যে সময়ের ব্যবধান। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন চাকরি, ব্যক্তিগত সমস্যা, বা অন্য যেকোনো কারণ।

স্টাডি গ্যাপের প্রভাব

স্টাডি গ্যাপ থাকলে, ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। নিচে কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো:
  • ভিসা অফিসারের সন্দেহ: দীর্ঘ সময়ের গ্যাপ থাকলে, অফিসার আপনার পড়াশোনার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ করতে পারেন।
  • পড়াশোনার ধারাবাহিকতা: বড় গ্যাপ থাকলে, আপনার শিক্ষার ধারাবাহিকতা ভেঙে যেতে পারে।

স্টাডি গ্যাপ কভার করার উপায়

স্টাডি গ্যাপ থাকলেও, কিছু উপায়ে এটি কভার করা সম্ভব। তবে তার জন্য আপনি নিচের দেখানো উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারেন।
  • কাজের অভিজ্ঞতাঃ কাজের মধ্যে থাকলে, সেই অভিজ্ঞতা উল্লেখ করতে পারেন।
  • সার্টিফিকেট কোর্সঃ ছোটো কোর্স বা ট্রেনিং নিয়ে গ্যাপ পূরণ করা যেতে পারে।
  • পার্সোনাল স্টেটমেন্টঃ আপনার গ্যাপের কারণ পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করুন।

গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণপত্র

আপনার যদি স্টাডি গ্যাপ থাকে তাহলে, কিছু প্রমাণপত্র জমা দিতে হতে পারে। সেগুলো হলোঃ
  • কাজের প্রমাণপত্রঃ আপনার কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র।
  • কোর্স সার্টিফিকেটঃ যে কোনো কোর্স বা ট্রেনিংয়ের সার্টিফিকেট।
সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিলে, স্টাডি গ্যাপ থাকা সত্ত্বেও কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সম্ভব। তথ্যগুলো ভালভাবে বোঝা এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র জমা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ নির্ধারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ব্যাংক স্টেটমেন্ট। আর তাই আপনাকে সেখানে প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ প্রদর্শন করতে হবে। সেগুলো হলো

প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ

যদি আপনি কানাডায় পড়াশোনা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন হবে। তেমনি কিছু উদাহরণ নিচে তুলে ধরা হলো।
  • টিউশন ফিঃ আপনার প্রথম বছরের টিউশন ফি কভার করার মত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ।
  • জীবিকা ব্যয়ের জন্যঃ প্রায় $10,000 (কানাডিয়ান ডলার) প্রতি বছর।
  • অতিরিক্ত খরচঃ যাতায়াত, বই, এবং অন্যান্য খরচের জন্য কিছু অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন।

ব্যাংক স্টেটমেন্টের সময়কাল

আপনার প্রতি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যাংক স্টেট্মেন্ট কাভার করতে হবে। কেননা এটিই আপনাকে সেখানে থাকার নিরাপত্তা দিবে।
  • কমপক্ষে চার মাসঃ আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট কমপক্ষে গত চার মাসের হতে হবে।
  • নিরবচ্ছিন্ন ব্যালেন্সঃ প্রতিটি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ থাকতে হবে।

ব্যাংক স্টেটমেন্টের ফরম্যাট

আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্টের লেনদেন একদম সকল সময়ে নির্ধারিত থাকতে হবে। কেননা এটা আপনার জন্য সেখানে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলোর উদাহরণ হলোঃ
  • ব্যাংকের মূল কপিঃ ব্যাংকের অফিসিয়াল কাগজে প্রিন্টেড।
  • ডিজিটাল কপিঃ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা।

অতিরিক্ত ডকুমেন্টেশন

এছাড়াও আপনাকে অনেক সময় অতিরিক্ত কিছু ডকুমেন্ট প্রদর্শন করতে হতে পারে। আর সেগুলো হলোঃ
  • আয়ের উৎসঃ পৃষ্ঠপোষকের আয়ের উৎসের প্রমাণ।
  • সম্পত্তির বিবরণঃ পৃষ্ঠপোষকের সম্পত্তির বিবরণ।
আপনি যদি এই সকল কিছু বুঝে থাকেন তাহলে এটিই আপনাকে নিশ্চিত দেয় যে আপনি সেখানে থেকে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারবেন। তাই আপনি এই সকল ডকুমেন্টগুলো আপডেট রাখার চেষ্টা করবেন।

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা হতে সর্বোচ্চ কত সময় লাগে

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ সাধারণত ১৫০ কানাডিয়ান ডলার। এই খরচের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং ফি অন্তর্ভুক্ত।

কানাডায় পড়াশোনা করতে চাইলে, স্টুডেন্ট ভিসা প্রয়োজন। কিন্তু ভিসা পেতে কত সময় লাগতে পারে? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই আসে। আসুন, আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।

আবেদন প্রক্রিয়ার সময়কাল

স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়ার সময় সম্পর্কে জানতে অনেকেই আগ্রহী। তাই চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • আবেদন জমা দেওয়াঃ সাধারণত ভিসার জন্য আবেদনপত্র জমা দিতে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ সময় লাগে।
  • প্রাথমিক স্ক্রিনিংঃ এটি করতে আরো ১-২ সপ্তাহ।
  • বায়োমেট্রিক্স প্রক্রিয়াঃ এটি করতে আরো সর্বোচ্চ ১ সপ্তাহ।

ভিসা প্রসেসিং টাইম

এখন আসি কানাডার স্টুডেন্ট ভিসার প্রসেসিং টাইম নিয়ে। কারণ আমাদেরকে এই বিষয়েও জানতে হবে। নিম্নে এই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
  • নিয়মিত প্রসেসিং: সাধারণত ৪-৬ সপ্তাহ।
  • দ্রুত প্রসেসিং: কিছু ক্ষেত্রে ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে।
এছাড়াও বেশ কিছু কারণে ভিসা প্রসেসিং হতে কিছুটা সময় বেশি লাগতে পারে। আর তার কারণগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।

অতিরিক্ত বিলম্বের কারণ

কিছু কিছু কারণ আছে যা ভিসা প্রসেসিং এর সময় বিলম্ব ঘটাতে পারে। আর সেই সকল কারণগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।
  • অসম্পূর্ণ আবেদনঃ প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাব।
  • অতিরিক্ত ডকুমেন্ট চেকিংঃ সন্দেহজনক তথ্য যাচাই।
  • বায়োমেট্রিক্সের বিলম্বঃ বায়োমেট্রিক্সের কাজ নির্দিষ্ট সময়মতো না হওয়া।

ভিসা স্ট্যাটাস চেক

কানাডায় স্টুডেন্ট ভাসায় যাওয়ার জন্য ভিসা হাতে পেলেই সেই ভিসা চেক করে নেওয়া উচিত। তাই আমাদের সকলকেই কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার স্ট্যাটাস চেক করার পদ্ধতি সম্পর্কেও জেনে রাখা উচিত।
  • অনলাইন পোর্টালঃ প্রথমে আবেদনকারীর প্রোফাইল লগইন করতে হবে।
  • ইমেইল নোটিফিকেশনঃ তারপরে ইমেইলের মাধ্যমে আপডেট ইমেইলে পাওয়ার ব্যাবস্থা করতে হবে।
  • কাস্টমার সার্ভিসঃ এছাড়াও সরাসরি এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করেও ভিসার স্ট্যাটাস জানা যায়।

সময়মতো আবেদন জমা দেওয়ার গুরুত্ব

যদি ভিসা প্রক্রিয়ার কাজ সময়মতো শেষ করতে হয় তাহলে অবশ্যই সঠিক সময়ে আবেদন পত্রটি জমা দিতে হবে। অন্যথায় ভিসা পেতে সময়ের বিলম্ব হতে পারে। তার জন্য অবশ্যই ২টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আর সেটি হলো
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সব ডকুমেন্ট প্রি-প্ল্যান করে জমা দেওয়া।
সময় মেনে চলাঃ আবেদন প্রক্রিয়ার নির্ধারিত সময়সীমা মেনে চলা। 
Credit: m.youtube.com
Frequently Asked Questions

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত সেই সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার ফি কত?
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন ফি প্রায় ১৫০ কানাডিয়ান ডলার।

মেডিকেল পরীক্ষার খরচ কত?
মেডিকেল পরীক্ষার খরচ প্রায় ২০০-২৫০ কানাডিয়ান ডলার হতে পারে।

বায়োমেট্রিক ফি কত?
বায়োমেট্রিক ফি সাধারণত ৮৫ কানাডিয়ান ডলার।

টিউশন ফি কত দিতে হবে?
টিউশন ফি প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে, সাধারণত ১৫,০০০-৩০,০০০ কানাডিয়ান ডলার প্রতি বছর।

জীবনযাপনের খরচ কত?
জীবনযাপনের খরচ প্রায় ১০,০০০-১২,০০০ কানাডিয়ান ডলার প্রতি বছর।

শেষ কথা

আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আমরা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।

আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। এমনই আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url